Search Icon

Bangladesh এর এলাকাগুলি ঘুরে দেখুন

306টি এলাকার মধ্যে 18 - 36টি
কাজীহাটা প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.5

কাজীহাটা
, রাজশাহী

কাজিহাটা, রাজশাহী জেলার অন্তর্ভুক্ত একটি প্রাণবন্ত আবাসিক এবং প্রশাসনিক এলাকা। প্রশাসনিক দিক থেকে এলাকাটি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের রাজপাড়া থানার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অংশ। এই এলাকা এবং এর আশেপাশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, আবাসিক হোটেল, সরকারি-বেসরকারি অফিস, এবং মসজিদ-মন্দির রয়েছে। পদ্মা নদী, বিভিন্ন জলাশয় এবং কৃষি জমি বেষ্টিত এলাকাটি আবাসস্থল হিসেবে খুবই মনোরম।<br><br> এই এলাকার দক্ষিণে পদ্মা নদী এবং ইন্ডিয়ান বর্ডার, উত্তরে রাজশাহী সদর এবং নওহাটা, পূর্বে বিনোদপুর এবং বানেশ্বর, পশ্চিমে কাশিয়াডাঙ্গা এবং দামকুড়া হাট। প্রধান মহাসড়ক এবং ক্রসিংগুলো কাজীহাটাকে, রাজশাহীর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশের সাথে সংযুক্ত করেছে। সাহেব বাজার রোড, স্টেশন রোড, গ্রেটার রোড, এবং রাজশাহী সিটি বাইপাস রোড এই এলাকাটিকে সমগ্র রাজশাহীর সাথে সংযুক্ত করেছে।<br><br> এখানকার অর্থনীতি মূলত স্থানীয় ব্যবসা, পণ্য পরিবহন, চাকরি এবং পর্যটন নির্ভর। এছাড়াও এলাকাটি আম, রেশম, এবং কৃষি উৎপাদনের জন্যও পরিচিত। আশেপাশে প্রচুর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এবং কর্মসংস্থান থাকায় এলাকাটি বেশ জনবহুল, এখানে অনেক ছাত্ৰাবাস রয়েছে। এলাকায় কাঁচাবাজার, সুপারশপ, এবং রেস্টুরেন্ট রয়েছে। স্থানীয় বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, এবং গৃহস্থালীর পণ্য পাবেন। এছাড়াও এখানে বিভিন্ন পোশাক এবং ইলেকট্রনিক শোরুম রয়েছে।<br><br> রাজশাহী নিউ গভ ডিগ্রী কলেজ, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ইনস্টিটিউট অফ হেলথ টেকনোলজি, বিয়াম মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, এবং রিভারভিউ কলেজিয়েট স্কুল, এই এলাকাএ কাছেই অবস্থিত। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, ক্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাতাল, এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, এই এলাকা থেকে পায়ে হাত দূরত্বে অবস্থিত।<br><br> বাংলাদেশ ব্যাংক রাজশাহী, আনসার-ভিডিপি হেড কোয়ার্টার, সার্কিট হাউজ, সেন্ট্রাল জেল, ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অফ একাউন্টস অফিস, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, এবং রাজশাহী জিপিও, এই এলাকার খুব কাছেই অবস্থিত। এখানে ৪-ষ্টার গ্রান্ড রিভার ভিউ হোটেল সহ হোটেল এক্স রাজশাহী, পর্যটন মোটেল, অরণ্য রিসোর্ট, হোটেল গ্রীন সিটি ইন্টারন্যাশনালের মতো উন্নত মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে।<br><br> এলাকাটির মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ, সবুজ ক্ষেত, এবং নদীমাতৃক শান্ত পরিবেশ এটিকে আবাসস্থল এবং অবকাশ যাপনকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত করেছে। এই এলাকার ইউটিলিটি ফ্যাসিলিটি মোটামুটি ভালো। কাজীহাটায় বিভিন্ন ধরণের আবাসিক ভবন এবং ব্যবসায়িক অবকাঠামো রয়েছে। এখানে উন্নত অ্যাপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে সাধারণ ফ্ল্যাটও পাওয়া যায়।<br><br> কাজীহাটার মানুষ তাদের আতিথেয়তার জন্য পরিচিত। এখানকার কারুশিল্প, উৎসব এবং সংস্কৃতি, এই অঞ্চলের ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে। বটতলা পদ্মার পাড়, টি বাঁধ, শহীদ কামরুজ্জামান সেন্ট্রাল পার্ক এবং বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটে। স্বাধীনতা টাওয়ারের মতো নতুন আবাসিক ভবনের পাশাপাশি এখানে রাস্তাঘাট, আবাসন, ইউটিলিটি সহ বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। রাজপাড়া থানা, বিজিবি ক্যাম্প, এবং ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স স্টেশন এই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে উন্নত করেছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
কিস্তুপুর প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.5

কিস্তুপুর
, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহের একটি মনোমুগ্ধকর উপশহর কিস্তপুর। কিস্তপুর এরিয়া গাইড আপনাকে এমন একটি জায়গার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে যেখানে ছোট শহরের অনুভূতি এবং বৃহত্তর শহরের সুযোগ-সুবিধাগুলি একত্রিত হয়েছে। এই অঞ্চলটি ঐতিহ্যবাহী বাড়ি এবং নতুন বাসস্থানের সংমিশ্রণের জন্য পরিচিত, যা আধুনিক আরাম এবং গ্রামীণ মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি করে।<br><br> পরিবহনের ক্ষেত্রে, কিস্তপুর ময়মনসিংহ শহরে যাওয়ার জন্য কয়েকটি প্রধান রাস্তা দ্বারা সংযুক্ত, যা যাতায়াতকে মোটামুটি পরিচালনাযোগ্য করে তোলে। তবে, বাস এবং রিকশার মতো গণপরিবহনের বিকল্পগুলি সীমিত হতে পারে, বিশেষ করে ব্যস্ত সময়ে, যাদের ব্যক্তিগত যানবাহন নেই তাদের জন্য একটি অসুবিধা হতে পারে। নিকটতম ট্রেন স্টেশন ময়মনসিংহে, যা দীর্ঘ দূরত্বের ভ্রমণের জন্য একটি বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করে।<br><br> কিস্তপুর একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সহ একটি প্রাণবন্ত সম্প্রদায়ের গর্ব। এই অঞ্চলটি সবুজ, ছোট পুকুর এবং শান্ত রাস্তা দিয়ে ভরা, যা প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য এটিকে উপযুক্ত করে তোলে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান, স্থানীয় উৎসব এবং ঐতিহ্যবাহী উদযাপনগুলি খুব সাধারণ, যা এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক শিকড়কে প্রতিফলিত করে। স্থানীয় বাজার হল এই সম্প্রদায়ের প্রাণকেন্দ্র, যেখানে মানুষ কেনাকাটা, মেলামেশা এবং স্ট্রিট ফুড উপভোগ করার জন্য জড়ো হয়, যা এই অঞ্চলের প্রাণবন্ত এবং বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশকে আরও বাড়িয়ে তোলে।<br><br> কিস্তপুরের স্থানীয় অর্থনীতি মূলত ছোট ব্যবসা এবং কিছু পরিষেবা-ভিত্তিক চাকরি দ্বারা পরিচালিত হয়। স্থানীয় অর্থনীতির সরলতার অর্থ হল কিস্তপুরের জীবন শহরের মতো দ্রুতগতির বা বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত নয়, তবে এটি তৃপ্তি এবং স্বনির্ভরতার অনুভূতি প্রদান করে।<br><br> যদিও কিস্তপুরে খুব কম বৃহৎ আকারের উন্নয়ন দেখা গেছে, সেখানে রাস্তাঘাটের উন্নতি এবং নতুন বাড়ি নির্মাণ সহ কয়েকটি ছোট প্রকল্প চলছে। ময়মনসিংহ শহর সম্প্রসারণের সাথে সাথে ভবিষ্যতের বিকাশের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে পরিবর্তনের গতি ধীর, যা এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী আকর্ষণ এখনো বজায় রেখেছে। রেলওয়ে এবং রেলওয়ে স্টাফ কোয়ার্টার এলাকাটি এলাকার সবচেয়ে কম পরিষ্কার অংশগুলির মধ্যে একটি, যার জন্য যথাযথ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।<br><br> তবুও, কিস্তপুরে প্রকৃতি, সংস্কৃতি এবং সম্প্রদায়ের চেতনার এক মনোরম মিশ্রণ রয়েছে। যদিও এই স্থানের চারপাশে অনেক মসজিদ রয়েছে, তবুও এলাকার গির্জা এবং মিশনারি কেন্দ্রগুলি আলাদাভাবে দাঁড়িয়ে আছে। কিস্তপুরের কিছু উল্লেখযোগ্য স্থান হল সেন্ট প্যাট্রিক ক্যাথেড্রাল, ময়মনসিংহ খ্রিস্টান মিশনের জাদুঘর, দিল রওশন জামে মসজিদ, প্রবর্তক সংঘ শিব মন্দির, রেলওয়ে কলোনি ইত্যাদি।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
ক্যান্টনমেন্ট প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.5

ক্যান্টনমেন্ট
, ঢাকা

ঢাকা সেনানিবাস ঢাকার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সদর দপ্তর এই সেনানিবাসের মধ্যে অবস্থিত। ক্যান্টনমেন্ট ঢাকা শহরের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত। ঢাকা সেনানিবাসের আয়তন ১৭৮৮.৯৮ একর। উক্ত স্থানটি ঢাকা মেট্রোপলিটনের আওতাধীন। ঢাকা সেনানিবাসের পোস্টাল কোড হল ১২০৬।<br><br> প্রায় ৬১,২৪৯ লোক এখানে বাস করে এটিকে একটি জীবন্ত এবং মোটামুটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা করে তুলেছে। স্থানটি বিশেষ করে সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সদর দফতরের জন্য পরিচিত এবং আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ঢাকা সেনানিবাসের অভ্যন্তরের নৈসর্গিক সৌন্দর্য, সুশৃঙ্খল জীবন, দীর্ঘ চওড়া ফাঁকা রাস্তা যা আপনি ঢাকার আর কোথাও দেখতে পাবেন না, পরিচ্ছন্নতা, নিয়মকানুন এবং সুশৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থা আপনাকে মুগ্ধ করবে। ঢাকার মধ্যেও যেন ঢাকা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা একটা জায়গা। বেশিরভাগ অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের জন্য একটি বাসভবন রয়েছে, যেখানে অন্যান্য বেসামরিক ব্যক্তিরা ভাড়াটে বা সাম্প্রতিক সময়ে নিজের/ইজারা হিসাবে বসবাস করতে পারে। মূলত সেনানিবাস এলাকাটি সেনাবাহিনীর আওতাধীন এবং বেশিরভাগই তাদের কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়। এখানকার পরিবেশ এতটাই চমৎকার যে এটি আপনার নজর কাড়বে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় এমন কিছু নেই যা এখানে পাওয়া যায় না। বরং সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা পান এই সেনানিবাসের মানুষ। মনে হয় ওখানে গেলে অন্য জগত।<br><br> মার্জিত ভবন কাঠামো এবং গাছপালা একটি সাদৃশ্য আছে. এখান থেকে বনানী খুব কাছে। সাইটটিতে মূলত ব্যারাক, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, প্রশাসনিক অফিস এবং সামরিক কর্মীদের এবং তাদের পরিবারের জন্য আবাসিক এলাকা সহ বিভিন্ন সামরিক সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও আপনি এলাকায় শপিং মল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মানসম্পন্ন হাসপাতাল পাবেন।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
খাগড়াছড়ি প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.5

খাগড়াছড়ি
, চট্টগ্রাম

খাগড়াছড়ি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের একটি জেলা, যা চট্টগ্রাম পার্বত্য চট্টগ্রামের অংশ। মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য পরিচিত খাগড়াছড়িকে প্রায়ই "রাজাদের পাহাড়" বলা হয়। এটি উত্তরে ভারতের সাথে এবং পশ্চিম ও দক্ষিণে চট্টগ্রাম জেলার দ্বারা সীমাবদ্ধ।<br><br> এই জেলার আয়তন প্রায় ২,৭৪৯.১৬ বর্গকিলোমিটার এবং এটি নয়টি উপজেলায় বিভক্ত: খাগড়াছড়ি সদর, দিঘীনালা, লক্ষ্মীছড়ি, মহালছড়ি, মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা, পানছড়ি, রামগড়, এবং গুইমারা। এখানে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের বসবাস, যা এই জেলার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে অবদান রেখেছে।<br><br> অর্থনৈতিকভাবে, খাগড়াছড়ি প্রধানত কৃষিনির্ভর, যেখানে অধিকাংশ মানুষের জীবিকা কৃষির সাথে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত। উর্বর ভূমি এখানে ধান, শাকসবজি এবং ফল চাষে সহায়ক, বিশেষত আনারস ও কমলালেবু যা স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও, জেলা ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পের জন্য পরিচিত, যেমন তাঁত বুনন এবং বাঁশজাত পণ্য।<br><br> পর্যটন খাগড়াছড়ির অর্থনীতিতে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, যা এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য দ্বারা পর্যটকদের আকর্ষণ করে। জনপ্রিয় পর্যটন স্থানের মধ্যে রয়েছে আলুটিলা গুহা, রিছাং ঝর্ণা এবং সাজেক ভ্যালি, যা পাহাড় ও উপত্যকার মনোরম দৃশ্য উপস্থাপন করে। এছাড়াও, জেলা ট্রেকিং এবং পার্বত্য জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি অন্বেষণের জন্য প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত।<br><br> প্রাকৃতিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পদ থাকা সত্ত্বেও, খাগড়াছড়ি অবকাঠামো উন্নয়ন এবং উন্নয়নের সাথে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। সংযোগ উন্নত করতে এবং টেকসই পর্যটন প্রচারের জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে যাতে জেলার দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত হয়।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
গৌরনদী প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.5

গৌরনদী
, বরিশাল

গৌরনদী, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বরিশাল জেলার অন্তর্ভুক্ত একটি মনোরম উপজেলা। গৌরনদী, এই অঞ্চলের অন্যতম প্রশাসনিক এবং আবাসিক এলাকা। উন্নত রাস্তা-ঘাট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে, এই এলাকাটি বাণিজ্যিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। এই এলাকার উল্লেখযোগ্য নদী পালরদী ও আড়িয়াল খাঁ। এই অঞ্চলে শহুরে সুযোগ-সুবিধা এবং গ্রামীণ জীবনধারার সংমিশ্রণ দেখা যায়।<br><br> এই অঞ্চলের অর্থনীতি মূলত কৃষি এবং পণ্য পরিবহন নির্ভর। প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, গম, আলু, শাকসবজি, বিভিন্ন মৌসুমী ফল-ফলাদি, ইত্যাদি। পালরদী ও আড়িয়াল খাঁ নদীর কাছাকাছি অবস্থিত এই এলাকাটি কৃষিকাজ এবং মৎস উৎপাদনের জন্য খুবই অনুকূল। এখানে অনেক গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি এবং মৎস্য খামার রয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় ব্যবসা, পরিবহন সেক্টর, এবং প্রবাসী আয়, এখানকার অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।<br><br> এই উপজেলার উত্তরে কালকিনি এবং মাদারীপুর, দক্ষিণে উজিরপুর এবং বরিশাল সদর, পূর্বে গোসাইরহাট এবং মুলাদী, পশ্চিমে কোটালিপাড়া এবং টুঙ্গিপাড়া। উপজেলাটি সড়ক ও নৌপথ দ্বারা সুসংযুক্ত। ঢাকা বরিশাল হাইওয়ে, গৌরনদী-কোটালীপাড়া-গোপালগঞ্জ হাইওয়ে, গৌরনদী সড়ক, আগরপুর রোড, এবং উপজেলা রোড, এই উপজেলাকে সারা দেশের সাথে সংযুক্ত করেছে। এলাকাটি বিভিন্ন প্রশাসনিক অফিস, সরকারি-বেসরকারি অফিস, কাঁচাবাজার, সুপারশপ, শোরুম, এবং দোকানপাট দিয়ে ভরা।<br><br> তেঁতুলিয়া নদী এবং জলাশয় বেষ্টিত এই এলাকাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত। এখানে বিভিন্ন উৎসব যেমন পৌষ সংক্রান্তির মেলা, মনসার মেলা, নৌকা বাইচ মহাসমারোহে উদযাপিত হয়। এই এলাকায় বেশ কিছু ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। উল্লেখযোগ্য কিছু হলো - গৌরনদী জমিদার বাড়ি, খাঞ্জাপুর বাড়ি দিঘি, জমিদার ভাগ্যকুল ভুইয়ার বাড়ি, কসবা মসজিদ, কমলাপুর মসজিদ, মাহিলাড়া সরকার মঠ, আশোকাঠী বিল্বগ্রাম দিঘি, নলচিড়ার কামান, ইত্যাদি।<br><br> গৌরনদী বাজার একটি ব্যস্ত বাজার যা এই এলাকার বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। এখানে কৃষি পণ্য থেকে শুরু করে গৃহস্থালীর জিনিসপত্র পর্যন্ত বিস্তৃত পণ্য পাওয়া যায়। গৌরনদীতে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।<br><br> গৌরনদীতে বেশ কিছু উন্নত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, এবং রেস্তোরাঁ রয়েছে। এই এলাকার নামকরা কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো - গৌরনদী কলেজ, নলচিড়া উচ্চ বিদ্যালয়, বারথি তারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পালরদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পিংলাকাঠি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ইত্যদি।এখানকার দর্শনীয় স্থানগুলো হলো - কসবা মসজিদ, মাহিলারা মঠ, শাহি পার্ক, ইত্যাদি।<br><br> উন্নত যোগাযোগ এবং পরিকল্পিত আবাসিক ভবন থাকায় এই উপজেলায় বেশ কিছু বাণিজ্যিক এবং রিয়েল স্টেট প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে। এছাড়াও এখানে ধানকল, আটাকল, বরফকল, ওয়েল্ডিং কারখানা ইত্যাদি রয়েছে। এই উপজেলার সবকটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বিদ্যুতের আওতাধীন। এই উপজেলার গৌরনদী এলাকা এবং ঘোষেরহাটের দৈ, ঘি এবং মিস্টি, খুবই জনপ্রিয়।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
চন্দনাঈশ প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.5

চন্দনাঈশ
, চট্টগ্রাম

চন্দনাইশ চট্টগ্রাম জেলার একটি গ্রাম। চন্দনাইশ পার হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। এ উপজেলার পূর্ব অংশ বৃক্ষে ঢাকা ঢাল ও প্রাকৃতিক বনভূমিতে আবৃত। এই অবস্থানটি প্রায় 2000 বছর আগের। মুঘল শাসনামলে আরাকান সমুদ্রবন্দর হিসেবে কাজ করত। বার্মা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা উপজেলার মুন্সেফ বাজারে এই অঞ্চলে উৎপাদিত সুন্দর ও সুগন্ধি চন্দনের ফাইবার কাঠের কারবার করত। <br><br> চন্দন কাঠের জন্য এই অঞ্চলের নাম চন্দনাইশ বলে মনে করা হয়। চন্দনাইশকে 1983 সালে উপজেলা ঘোষণা করা হয়। এই উপজেলায় নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা রয়েছে। ধোপাছড়ি ইউনিয়ন বান্দবন, রাঙ্গুনিয়া, দোহাজারী, হাসিমপুর ও কাঞ্চনাবাদের আশেপাশে পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত। তিন ইউনিট কিছুটা পাহাড়ি। চন্দনাইশের উত্তরে পটিয়া ও রাঙ্গুনিয়া, দক্ষিণে সাতকানিয়া, পূর্বে বান্দরবান ও রাঙ্গুনিয়া এবং পশ্চিমে আনোয়ারা উপজেলা অবস্থিত। এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এই অঞ্চলে বর্তমানে কোন সমুদ্রবন্দর বা চন্দন কাঠ নেই। কাঞ্চনাবাদের মেট্রোপলিটন অঞ্চলে সাদা মাটি, মূল্যবান পাথর, থামি এবং গামছা বুননের মতো আপাত খনিজ সম্পদ আর নেই। <br><br> হযরত শাহ আমিন উল্লাহ (রহঃ), হযরত মোস্তান আলী শাহ (রহঃ), হযরত হাফিজ আনসুর আলী (রহঃ), হযরত আক্কেল আলী শাহ, গারাঙ্গিয়া দরবারের খলিফা, হযরত মাওঃ এই সকল ব্যক্তিবর্গ এই স্থানে ও নিকটবর্তী স্থানে জন্মগ্রহণ করেন।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
চান্দমারি প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.5

চান্দমারি
, বরিশাল

চান্দমারি একটি আবাসিক এলাকা যা বরিশাল শহরের মধ্যে অবস্থিত, এবং এটি পুলিশ লাইন রোডের মতো প্রধান সড়কগুলির কাছাকাছি অবস্থিত, যার ফলে এটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সহজ প্রবেশাধিকার প্রদান করে। এই এলাকা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সুবিধার কাছাকাছি অবস্থিত, যার মধ্যে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অন্যতম, যা এই অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার নিকটবর্তীতা চান্দমারিকে এমন একটি স্থান হিসেবে তৈরি করেছে যেখানে বসবাসকারীরা সহজেই স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারেন।<br><br> এই এলাকাটি দক্ষিণ এবং উত্তর আলকানন্দার পাশে অবস্থিত এবং বরিশাল লঞ্চ ঘাটের কাছাকাছি, যা বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের সাথে শহরকে নদী পথের মাধ্যমে সংযুক্ত করে। এই কৌশলগত অবস্থান স্থানীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে, যেখানে ব্যবসা এবং ব্যবসা ও সার্ভিসগুলি ভ্রমণকারী এবং বাসিন্দাদের চাহিদা পূরণ করে।<br><br> চান্দমারি একটি ভালোভাবে পরিকল্পিত এলাকা যেখানে আবাসিক এবং বাণিজ্যিক সুবিধার মিশ্রণ রয়েছে। আবাসিক দিকটি মূলত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বাসস্থানের দ্বারা গঠিত, যা শহরের ব্যস্ততা থেকে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রদান করে। এই এলাকা সদর রোডের মতো প্রধান সড়কগুলির সাথে সংযুক্ত, যা বরিশালের অন্যান্য অংশের সাথে ভালো যোগাযোগ নিশ্চিত করে।<br><br> বিনোদন এবং অবসরের জন্য, কীর্তনখোলা নদীর পাশে “অ্যাডামস পার্ক” নামে একটি সবুজ স্থান হিসেবে রয়েছে, যেখানে বাসিন্দারা বিশ্রাম নিতে এবং বাইরের কার্যকলাপে অংশ নিতে পারেন। সব মিলিয়ে, চান্দমারির সহজ প্রবেশাধিকার, প্রয়োজনীয় সেবা এবং শান্ত আবাসিক পরিবেশ একে বরিশালে বসবাসের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান করে তোলে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
ছোট বনগ্রাম প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.5

ছোট বনগ্রাম
, ঢাকা

ছোট বানগ্রাম বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের মাদারীপুর জেলায় অবস্থিত একটি গ্রাম। মাদারীপুর জেলা তার উর্বর জমি এবং অসংখ্য নদীর জন্য পরিচিত। ছোট বানগ্রাম থেকে ঢাকার দূরত্ব প্রায় ৬৮ কিমি। পদ্মা নদী দ্বারা বেষ্টিত মাদারীপুরের কৃষি ও পরিবহন ব্যবস্থার ওপর এর গভীর প্রভাব রয়েছে।<br><br><br><br> ছোট বানগ্রাম তার দৃঢ় সম্প্রদায়ের মনোভাব, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত। এর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং কৃষি সমৃদ্ধি এটি বসবাসের জন্য একটি চমৎকার জায়গা করে তুলেছে। যদিও এটি একটি ছোট স্থান, তবে এর অবকাঠামো মৌলিক। গ্রামে কিছু স্কুল, মসজিদ এবং স্থানীয় বাজার রয়েছে। এছাড়াও, এখানে একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।<br><br><br><br> ছোট বানগ্রামের সংস্কৃতি মাদারীপুর অঞ্চলের বিস্তৃত সাংস্কৃতিক অনুশীলনের প্রতিফলন। গ্রামের অর্থনীতি মূলত কৃষির উপর নির্ভরশীল। এখানকার মাটি অত্যন্ত উর্বর, যা এই অঞ্চলের অর্থনীতিকে সাহায্য করে। মাদারীপুর প্রধান সড়ক এবং নিকটবর্তী শহরের সাথে গ্রামটি সংযুক্ত, যা গ্রামবাসীদের সহজে যাতায়াত করতে সহায়তা করে।<br><br> যদিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা এবং বড় বাজারের মতো কিছু প্রয়োজনীয় বিষয়ে অভাব রয়েছে, এই অঞ্চলের মানুষ একে অপরের প্রতি অত্যন্ত সহযোগিতামূলক হওয়ায় এটি একটি বাসযোগ্য স্থান।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
নওদাপাড়া প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.5

নওদাপাড়া
, রাজশাহী

নওদাপাড়া, রাজশাহী জেলার শাহমখদুম এলাকায় অবস্থিত একটি প্রাণবন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এটি একটি দ্রুত বর্ধনশীল আবাসিক এবং বাণিজ্যিক এলাকা। এলাকাটি আবাসিক ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রশাসনিক ভবন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল এবং বিনোদন কেন্দ্র বেষ্টিত। রেলপথ, বিমানবন্দর কাছাকাছি হওয়ায়, এবং গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক সংলগ্ন হওয়ায় এই এলাকাটি ব্যবসা-বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।<br><br> এই এলাকার দক্ষিণে রাজশাহী সদর এবং পদ্মা নদী, উত্তরে নওহাটা এবং মোহনপুর, পূর্বে বানেশ্বর এবং পুঠিয়া, পশ্চিমে কাশিয়াডাঙ্গা এবং দামকুড়া হাট। রাজশাহী-নওগাঁ হাইওয়ে এবং রাজশাহী বাইপাস রোড এখানকার প্রধান সড়ক। এছাড়াও এই এলাকায় বেশ কিছু সংযোগ সড়ক রয়েছে। শাহ মখদুম বিমানবন্দর নওদাপাড়া থেকে মাত্র ৪ কিমি উত্তরে অবস্থিত। শহীদ এ. এইচ. এম. কামারুজ্জামান স্টেডিয়াম, এবং রাজশাহী সেনানিবাস এই এলাকা থেকে মাত্র ২ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত।<br><br> একানকার অর্থনীতি মূলত স্থানীয় ব্যবসা, বাণিজ্যিক স্থাপনা, ট্রান্সপোর্টেশন এবং চাকরি নির্ভর। এখানকার লিভিং কস্ট এবং বাসা ভাড়া কিছুটা কম। নওদাপাড়ায় সাধারণ ফ্ল্যাট থেকে শুরু করে আধুনিক এপার্টমেন্ট পর্যন্ত বিভিন্ন ধরণের আবাসন বিকল্প রয়েছে। এখানে বেশ কিছু উন্নতমানের রেস্টুরেন্ট এবং আবাসিক হোটেল রয়েছে।<br><br> আল-মারকাজুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া মসজিদ এবং আহলে হাদিস জামে মসজিদ এখানকার ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। এই এলাকায় প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্কুল রয়েছে। নওদাপাড়া থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, কুয়েট, এবং মেডিকেল কলেজ কাছাকাছি অবস্থিত। নওদাপাড়া বাজার, সাত্তার সুপার মার্কেট সহ এখানে বেশ কিছু কাঁচাবাজার এবং সুপারশপ আছে।<br><br> পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত, নওদাপাড়ার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য যেকাউকে মুগ্ধ করবে। এলাকাটি আবাসস্থল হিসেবে চমৎকার, এখানে আপনি আধুনিক সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি নদীমাতৃক গ্রামীণ আবহ পাবেন। এখানকার ইউটিলিটি ফ্যাসিলিটি এবং পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা বেশ উন্নত। এলাকাটি পরিছন্ন এবং এখানকার বাসিন্দারা বন্ধুত্বপরায়ন।<br><br> শহীদ জিয়া শিশু পার্ক এখানকার অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র, এছাড়াও এখানে খেলার মাঠ, কমিউনিটি সেন্টার, এবং জিমনেসিয়ামের মতো সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। নওদাপাড়ার কৌশলগত অবস্থান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মসংস্থান, বাণিজ্যিক কেন্দ্র, যোগাযোগ ব্যবস্থা, এবং বিনোদনমূলক সুযোগ-সুবিধা এটিকে রাজশাহীর অন্যতম আকর্ষণীয় এবং চাহিদাসম্পন্ন এলাকায় পরিণত করেছে।<br><br> এখানকার স্থানীয় রীতিনীতি, উৎসব, এবং ভাটিয়ালি গান স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বজায় রেখেছে। ক্রমবর্ধমান নগরায়নের মধ্যেও এলাকাটির পরিছন্ন পরিবেশ, ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং শান্ত-নির্মল আবহাওয়া, এটিকে অনন্য করে তুলেছে। নওদাপাড়া রাজশাহী সদরের উত্তর অংশে অবস্থিত। যারা শহরের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সকল সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন এলাকায় বসবাস করতে চান, এটি তাদের জন্য আদর্শ একটি আবাসস্থল হতে পারে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
নাজির মহল্লা প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.5

নাজির মহল্লা
, বরিশাল

নাজির মহল্লা হলো বরিশাল জেলার একটি আবাসিক এলাকা, যা ঐতিহ্যবাহী এবং আধুনিক বৈশিষ্ট্যের মিশ্রণ হিসেবে পরিচিত। বরিশাল শহরাঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত, নাজির মহল্লা একটি কমিউনিটি-ভিত্তিক মহল্লায় পরিণত হয়েছে, যা মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য আকর্ষণীয়। এই এলাকায় পুরনো ঐতিহ্যবাহী বাড়ির পাশাপাশি নতুন এবং আধুনিক বিল্ডিংগুলোর মিশ্রণ দেখা যায়, যা বছরের পর বছর ধরে ধীরে ধীরে উন্নতির পরিচায়ক।<br><br> জনসংখ্যাগতভাবে, নাজির মহল্লা প্রধানত বাংলা ভাষাভাষী মুসলিমদের দ্বারা বসবাসিত, তবে এখানে কিছু হিন্দু পরিবারও রয়েছে। এই এলাকা তুলনামূলকভাবে শান্ত, যেখানে বাসিন্দাদের মধ্যে শক্ত একটি সম্প্রদায়বদ্ধ অনুভূতি রয়েছে।<br><br> স্থানীয় অর্থনীতি ছোট ব্যবসা, খুচরা দোকান এবং সেবা ভিত্তিক উদ্যোগ দ্বারা সমর্থিত, যা বাসিন্দাদের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে সহায়ক। অনেক বাসিন্দা পেশাদার, ব্যবসায়ী বা সরকারি কর্মচারী, যা স্থানীয় অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখে।<br><br> নাজির মহল্লা মৌলিক সুযোগ-সুবিধা যেমন স্কুল, মসজিদ এবং স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাসমূহের জন্য পরিচিত, যা পরিবারগুলির জন্য একটি সুবিধাজনক পরিবেশ সৃষ্টি করে। এলাকায় রাস্তা গুলি ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সহজলভ্য, যা নাজির মহল্লাকে বরিশাল শহরের অন্যান্য অংশের সাথে সংযুক্ত করে।<br><br> যদিও নাজির মহল্লা একটি প্রধান পর্যটন গন্তব্য নয়, তবে এটি বরিশালের প্রধান বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কাছে অবস্থিত, যা বাসিন্দাদের শহরের আকর্ষণীয় স্থানগুলোতে সহজ প্রবেশাধিকার প্রদান করে। এই এলাকা বিভিন্ন পার্ক এবং বিনোদনমূলক স্থানগুলোর কাছাকাছি হওয়ায় বাসিন্দাদের জন্য অবসর সময় কাটানোর সুযোগও রয়েছে। সার্বিকভাবে, নাজির মহল্লা একটি সুসম্পূর্ণ আবাসিক এলাকা যা প্রয়োজনীয় সুবিধা এবং সেবার সাথে একটি আরামদায়ক জীবনযাত্রার পরিবেশ প্রদান করে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
বনানী প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.5

বনানী
, ঢাকা

বাংলাদেশের ঢাকার গুলশান থানায় অবস্থিত বনানী হল একটি জমজমাট বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকা যা উন্নত জীবনযাপন, প্রাণবন্ত পরিবেশ এবং মহাজাগতিক জীবনধারার জন্য পরিচিত। ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে গড়ে ওঠা বনানী ঢাকার সবচেয়ে সমৃদ্ধ এবং অন্বেষিত এলাকায় পরিণত হয়েছে।<br><br> বনানী তার সুপরিকল্পিত বিন্যাসের দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে, প্রশস্ত রাস্তা, আধুনিক অবকাঠামো এবং উচ্চ-বৃদ্ধি আবাসিক ভবন, বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স এবং শপিং সেন্টারের মিশ্রণ। এই এলাকাটি বাসিন্দাদের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আবাসস্থল, যার মধ্যে রয়েছে সমৃদ্ধ পরিবার, প্রবাসী এবং তরুণ পেশাদাররা এর সুবিধাজনক অবস্থান এবং বিলাসবহুল সুযোগ-সুবিধার প্রতি আকৃষ্ট।<br><br> বনানীর প্রধান আকর্ষণ গুলোর মধ্যে একটি হল বনানী লেক পার্ক, একটি মনোরম লেকের চারপাশে একটি নির্মল সবুজ স্থান, যা বাসিন্দাদের শহরের জীবনের তাড়াহুড়ো থেকে শান্তভাবে মুক্তি দেয়। পার্কটি সকালের সময় হাঁটা, ব্যায়াম এবং বিনোদনমূলক ক্রিয়াকলাপের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান, যা এটিকে আশেপাশের একটি লালিত সম্পদ করে তুলেছে।<br><br> বনানী তার প্রাণবন্ত খাবারের এবং বিনোদনের দৃশ্যের জন্যও পরিচিত, যেখানে প্রচুর রেস্তোরাঁ, ক্যাফে এবং উচ্চমানের খাবারের দোকানগুলোতে আন্তর্জাতিক খাবার এবং খাবারের অভিজ্ঞতা প্রদান করে। বনানীর ফ্যাশন ও সাধারণ স্তরের মানুষগুলোর জন্য এই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি কেনাকাটার মার্কেট, বুটিক স্টোর এবং ডিজাইনার বুটিক রয়েছে।<br><br> বাণিজ্যিক ও বিনোদনমূলক সুবিধা গুলোর পাশাপাশি, বনানীতে মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা এবং কর্পোরেট অফিস রয়েছে, যা এটিকে বসবাস ও কাজ করার জন্য একটি আরামদায়ক এবং পছন্দসই জায়গা করে তুলেছে।<br><br> বনানী সড়ক ও গণপরিবহন পরিষেবার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ঢাকার অন্যান্য অংশের সাথে সু-সংযুক্ত, যা শহরের ব্যবসায়িক জেলা, সাংস্কৃতিক আকর্ষণ এবং বিনোদনমূলক সুবিধাগুলিতে সহজে প্রবেশের ধারা প্রদান করে।<br><br> সামগ্রিকভাবে, বনানী একটি বিলাসবহুল এবং মহাজাগতিক জীবনধারা প্রদান করে, যা ঢাকার কেন্দ্রস্থলে উচ্চতর জীবনযাপনের জন্য এটিকে একটি পছন্দের আবাসিক এলাকা হিসেবে গড়ে তোলে। তার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, প্রাণবন্ত পরিবেশ এবং সুবিধাজনক অবস্থানের সাথে, বনানী একইভাবে বাসিন্দাদের এবং বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করে চলেছে, যা ঢাকার অন্যতম প্রধান স্থান হিসেবে এর মর্যাদাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
বারিধারা প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.5

বারিধারা
, ঢাকা

বসুন্ধরা এবং গুলশান লেকের মধ্যে অবস্থিত বারিধারা, ঢাকার অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ এলাকা। বারিধারা এলাকার গাইডের উদ্দেশ্যে, এই বলে শুরু করা যাক যে এটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের একটি অংশ এবং গুলশান থানা, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে পড়ে।<br><br> এটি গুলশান-বারিধারা লেকের ঠিক অপরদিকে, এবং এই এলাকা থেকে সহজেই যমুনা ফিউচার পার্কে যাওয়া যায়। যদিও এই এলাকার বর্তমান জনসংখ্যা অজানা, তবে এটি ঢাকার সবচেয়ে ধনী এলাকাগুলির মধ্যে একটি, শুধুমাত্র মুষ্টিমেয় লোককে আকর্ষণ করে।<br><br> যাইহোক, বারিধারার এলাকাকে দুটি জোনে ভাগ করা হয়েছে: পশ্চিমে কূটনৈতিক অঞ্চল এবং পূর্বে আবাসিক এলাকা, যার উত্তর-পূর্ব দিকে একটি ডিওএইচএস জোনও রয়েছে।<br><br> অনেক সুযোগ-সুবিধা সহ বারিধারা ঢাকার অন্যতম সেরা এলাকা। এটি একটি পরিচ্ছন্ন এবং শান্ত পরিবেশ সহ একটি সুপরিকল্পিত এলাকা।<br><br> এটি এমন একটি এলাকা যেখানে হোসেইন মুহম্মদ এরশাদ সহ অনেক সেলিব্রিটি এবং রাজনীতিবিদ বসবাস করেন। অধিকন্তু, এই এলাকায় সম্ভবত সবচেয়ে কূটনৈতিক আবাসস্থল, ২০ টিরও বেশি দূতাবাস এবং হাই কমিশনারের বাসস্থান। এই কারণেই এটি একটি সুরক্ষিত এলাকা যা সর্বদা সিসিটিভি নজরদারির অধীনে থাকে।<br><br> তাছাড়া এই এলাকা থেকে শহরের ভিতরে ও বাইরে যোগাযোগ সহজলভ্য। তবে এটি আবাসিক এলাকা বেশি হওয়ায় গণপরিবহনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।<br><br> এখানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের হেডকোয়ার্টার সহ অনেক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আপনি যদি একটি শান্ত পরিবেশ এবং ভাল (এবং ব্যয়বহুল) জীবনধারা উপভোগ করতে চান, তাহলে বারিধারায় চলে যাওয়া সেরা সিদ্ধান্ত হতে পারে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
বেলতলা ফেরি ঘাট প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.5

বেলতলা ফেরি ঘাট
, বরিশাল

বেলতলা ফেরিঘাট, বরিশাল কির্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপরিবহন কেন্দ্র। এই এলাকা বরিশালকে জলপথের মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চলের সাথে সংযুক্ত করে, যা জেলার পরিবহন নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।<br><br> ঐতিহাসিকভাবে, বরিশাল একটি গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দর হিসেবে পরিচিত, যা তার বিস্তৃত নদী ও খালের কারণে "প্রাচ্যের ভেনিস" নামে খ্যাত। বেলতলা এলাকা এই ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটায়, যেখানে ফেরি সেবাকে কেন্দ্র করে সবসময় ব্যস্ত পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়।<br><br> জনসংখ্যাগতভাবে, এই অঞ্চলের জনসংখ্যার প্রধান অংশ বাঙালি, যারা নদীর ওপর নির্ভরশীল। এদের মধ্যে জেলেরা, ব্যবসায়ীরা এবং পরিবহন শ্রমিকরা রয়েছেন। আশপাশের আবাসিক এলাকা মাঝারি উন্নত, যেখানে ঐতিহ্যবাহী ঘরবাড়ির পাশাপাশি আধুনিক ভবনও রয়েছে।<br><br> বাণিজ্যিকভাবে, এই এলাকায় ট্রাভেলার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য ছোট দোকান, খাবারের দোকান এবং বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।<br><br> যদিও বেলতলা ঘাট প্রধান পর্যটন কেন্দ্র নয়, তবে এটি প্রতিদিনের যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বরিশালের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই ফেরিঘাটের সংযোগ ও সুবিধা উন্নত করার জন্য বেশ কিছু অবকাঠামো প্রকল্প সম্পন্ন ও বাস্তবায়নাধীন রয়েছে, যা বরিশালকে একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
বোয়ালিয়া প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.5

বোয়ালিয়া
, রাজশাহী

বোয়ালিয়া বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার একটি বিশিষ্ট উপজেলা। এটি দেশের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত এবং রাজশাহী বিভাগের একটি অংশ। এই এলাকা বোয়ালিয়া থানা অন্তর্ভুক্ত। বোয়ালিয়ায় ৫১০৬৩টি পরিবার এবং মোট আয়তন ৯৬.৬৮ বর্গ কিলোমিটার।<br><br> ২০১১ সালের বাংলাদেশ আদমশুমারি অনুযায়ী বোয়ালিয়ার জনসংখ্যা ছিল ২,২১,১৬৩। এর মধ্যে পুরুষ ৫১.৭৩% এবং নারী ৪৮.২৭%। মুসলিম ৯৩.২১%, হিন্দু ৬.৫৯%, খ্রিস্টান ০.১৮% এবং অন্যান্য ০.০২% জনসংখ্যার অংশ। বোয়ালিয়ার সাক্ষরতার হার ৭৬.৩৭%। বোয়ালিয়া থানায় ৩০টি ইউনিয়ন/ওয়ার্ড এবং ৮২টি মৌজা/মহল্লা রয়েছে। বোয়ালিয়া থানায় বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ, রাজশাহী গভর্নমেন্ট সিটি কলেজ, রাজশাহী গভর্নমেন্ট উইমেন্স কলেজসহ ১৩টি বিখ্যাত কলেজ রয়েছে।<br><br> বোয়ালিয়া উপজেলা তার গ্রামীণ দৃশ্যপট, কৃষিক্ষেত্র এবং ছোট শহরের জন্য পরিচিত। সমতল ভূমি এখানে কৃষির জন্য উপযোগী। বোয়ালিয়ার অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। ধান, পাট এবং সবজি চাষ এখানকার প্রধান চাষাবাদ। বোয়ালিয়ার সাংস্কৃতিক জীবন বাংলাদেশের ঐতিহ্যের প্রতিফলন করে, যেখানে লোকসংগীত, নৃত্য এবং উৎসব অন্তর্ভুক্ত।<br><br> বোয়ালিয়া হয়তো প্রধান পর্যটন গন্তব্য না হলেও, এর গ্রামীণ সৌন্দর্য এবং কৃষি দৃশ্যপট ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি জীবনের একটি ঝলক উপস্থাপন করে। সামগ্রিকভাবে, বোয়ালিয়া বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের একটি উদাহরণ, যা তার কৃষি ভিত্তি, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং সম্প্রদায়-কেন্দ্রিক জীবনের জন্য পরিচিত।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
ভোলা প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.5

ভোলা
, বরিশাল

ভোলা জেলা, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত বরিশাল বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি মনোরম উপকূলীয় অঞ্চল। এটি একটি বিশাল ব-দ্বীপ। মেঘনা এবং তেঁতুলিয়া নদী এই জেলার দুই পাশ দিয়ে বয়ে গেছে। এই উপকূলীয় অঞ্চলটি সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক পরিবেশ, গ্যাসের মজুদ, বিস্তীর্ণ ভূমি, কিছু ছোট দ্বীপ, নদী এবং সাগর বেষ্টিত। এই অঞ্চলে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ রয়েছে। মূলত গ্যাস রিজার্ভ এই জেলার আর্থসামাজিক অবস্থা এবং আধুনিকায়নে ব্যাপক পরিবর্তন এনে দিচ্ছে।<br><br> ভোলা জেলা ইলিশের আবাসস্থল, গ্যাস রিজার্ভ এবং মনপুরা-হাতিয়া-নিঝুমদ্বীপ-চরফ্যাশন ইত্যাদি উপকূলীয় এলাকার জন্য পরিচিত। এখানকার ঘুইঙ্গার হাটের মিষ্টি এবং ঘোষের দধি সারা দেশে জনপ্রিয়। বিখ্যাত বিদ্বান এবং ধার্মিক ভোলা গাজীর নামে এই জেলার নামকরণ করা হয়েছিল। এই দ্বীপের আনুমানিক বয়স প্রায় ৩ হাজার বছর। জেলাটি বাংলাদেশের রানী নামে পরিচিত।<br><br> এই জেলার দক্ষিনে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে নোয়াখালী এবং চট্রগ্রাম বিভাগ, উত্তরে ফরিদপুর, লক্ষীপুর এবং কুমিল্লা, পশ্চিমে বরিশাল, পটুয়াখালী এবং বরগুনা জেলা। চরফ্যাশন-ভোলা হাইওয়ে, বরিশাল-ভোলা হাইওয়ে, এবং উপজেলা রোড, এই জেলার প্রধান সড়ক। যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হলো, এই জেলায় কোনও রেলপথ এবং বিমানবন্দর নেই। এছাড়াও সারা দেশের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। জলপথে এই জেলা সারা দেশের সাথে সংযুক্ত।<br><br> এই জেলার অর্থনীতি মূলত কৃষি এবং মৎস উৎপাদন নির্ভর। এই জেলায় বড় কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান কিংবা কারখানা নেই। তবে এখানে জুতা, প্লাস্টিক, কলম, পেন্সিল, মোম, প্রসাধনী, আলকাতরা, ইত্যাদি কারখানা রয়েছে অনেক। ভোলা জেলার টোটাল আয়তন ৩৭৩৭.২১ বর্গ কিমি। এই জেলার ভৌগোলিক অবস্থান এটিকে কৃষি বাণিজ্য, লবন এবং মৎস উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। আবার জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এই জেলা ঝুঁকিপূর্ণ।<br><br> ভোলায় চর এবং ছোট দ্বীপ সহ বেশ কিছু সুন্দর পর্যটন স্পট রয়েছে। এই জেলার জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে মনপুরা দ্বীপ, চর কুকরি মুকরি, ঢালের চর, বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর, নিজামের মসজিদ, এবং জ্যাকব টাওয়ার। ভোলায় সাতটি দ্বীপ রয়েছে - ভোলা দ্বীপ, মনপুরা দ্বীপ, ধলের চর, চর কুকরি মুকরি, চর জহিরুদ্দিন, চর নিজাম, এবং চর নাজুর রহমান।<br><br> ভোলা সরকারি কলেজ, চরফ্যাশন সরকারি কলেজ, সরকারি ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজ, ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ইত্যাদি এই জেলার পরিচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এছাড়াও এখানে অনেক প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এই জেলায় একটি আধুনিক সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। এছাড়াও এখানে বেশ কিছু সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, যক্ষ্মা ক্লিনিক, ডায়াবেটিক হাসপাতাল, এবং প্রচুর স্যাটেলাইট ক্লিনিক রয়েছে।<br><br> ভোলার কেচিয়ায় প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও সম্প্রতি এই জেলায় ২.৫ ট্রিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ আবিষ্কার হয়েছে, যা এই জেলা তো বটেই বাংলাদেশের জিওপলিটিক্যাল অবস্থান তাৎপর্যময় করে তুলতে পারে। এখানে প্রচুর কর্মসংস্থান এবং সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। তাই এখানে বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প, সড়ক এবং সেতুর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
মতিহার প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.5

মতিহার
, রাজশাহী

মতিহার বাংলাদেশের রাজশাহীতে অবস্থিত। মতিহার থানা, যা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের অধীন একটি থানা, এর অন্তর্ভুক্ত। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। এই এলাকা রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকার একটি অংশ, যা তার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য পরিচিত।<br><br> ১৯৯১ সালের বাংলাদেশ আদমশুমারি অনুযায়ী, মতিহারের জনসংখ্যা ছিল ৩৮,০০০। এর মধ্যে পুরুষ ৫৫.২৬% এবং নারী ৪৪.৭৪%। মতিহারের গড় সাক্ষরতার হার ৮৪.৮%, যা জাতীয় গড় ৩২.৪% থেকে বেশি। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মতিহারের জনসংখ্যা ছিল ৬২,১৭২। পুরুষ ছিল ৫৩.৮০% এবং নারী ছিল ৪৬.২০%। মুসলমান ৯৫.৯১%, হিন্দু ৩.৯৭%, খ্রিস্টান ০.০৫% এবং বাকিরা ০.০৬%।<br><br> মতিহারকে প্রায়ই "সিল্ক সিটি" এবং "এডুকেশন সিটি" বলা হয় কারণ এটি রেশম উৎপাদন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এলাকাটি আবাসিক এবং বাণিজ্যিক অঞ্চলের মিশ্রণ, যেখানে স্থানীয় বাজার, দোকানপাট এবং আবাসিক ভবন রয়েছে। মতিহারের অবকাঠামোতে বিভিন্ন সুবিধা এবং সেবা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা এর বাসিন্দাদের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম।<br><br> ২০২৪ সালের হিসাবে, মতিহারের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এখানে বিভিন্ন নতুন উন্নয়ন এবং পরিবর্তন ঘটছে, যার মধ্যে সড়ক উন্নয়ন, বাণিজ্যিক খাত এবং আবাসিক অবকাঠামো অন্তর্ভুক্ত।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
রাঙামাটি প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.5

রাঙামাটি
, চট্টগ্রাম

রাঙামাটি চট্টগ্রাম বিভাগে অবস্থিত। এটি উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, দক্ষিণে বান্দরবান জেলা, পূর্বে ভারতের মিজোরাম রাজ্য এবং মিয়ানমারের চিন রাজ্য এবং পশ্চিমে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলার দ্বারা সীমাবদ্ধ। রাঙামাটি বাংলাদেশের একমাত্র জেলা, যার দুটি দেশের (ভারত ও মিয়ানমার) সাথে আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে।<br><br> রাঙামাটি ত্রিপুরা এবং আরাকানের রাজাদের জন্য যুদ্ধক্ষেত্র ছিল। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আগমনের পূর্বে এটি রিয়াং কাউন্টি নামে পরিচিত ছিল। ১৫৬৬ সালে মুসলিম বিজয়ের পর এটি মুঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৭৩৭ সালে উপজাতি নেতা শের মোস্ত খান মুঘলদের কাছে আশ্রয় নেন। এরপর এখানে চাকমা গ্রাম গড়ে ওঠে এবং বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অন্যান্য সম্প্রদায়ের বসতি স্থাপন হয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৬০ থেকে ১৭৬১ সালের মধ্যে এই এলাকা লিজে নেয়।<br><br> বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর, সরকার এই জেলাটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যথেষ্ট যত্ন নিয়েছে এবং তারা এটি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। রাঙামাটি এখন সারা বছর দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এখানে রয়েছে কাপ্তাই লেক, ঝুলন্ত সেতু, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, শুভলং ঝর্ণা এবং সাজেক ভ্যালির মতো আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান।<br><br> পর্যটন স্থান ছাড়াও, রাঙামাটি অর্থনীতির জন্য কৃষির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। এই অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জীবিকার জন্য কৃষির সাথে জড়িত।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
রাজপাড়া প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.5

রাজপাড়া
, রাজশাহী

রাজপাড়া বাংলাদেশের রাজশাহী জেলায় অবস্থিত। এটি রাজপাড়া থানা, যা রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলার একটি থানা। রাজপাড়া বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত। এই এলাকা রাজশাহী মেট্রোপলিটন এরিয়ার একটি অংশ, যা তার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য পরিচিত।<br><br> ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী রাজপাড়ায় আনুমানিক জনসংখ্যা ছিল ১,৩৭,৩১৮ (পুরুষ ৫১.২৩%, নারী ৪৮.৭৭%)। মুসলমান ৯৩.৬৮%, হিন্দু ৪.৫%, খ্রিস্টান ০.৯৭% এবং অন্যান্য ০.৮৫% জনসংখ্যার অংশ। ৭ বছর বা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে রাজপাড়ার সাক্ষরতার হার ৭৩.৯২%।<br><br> রাজপাড়া প্রধানত একটি আবাসিক এলাকা, যেখানে একক পরিবারের বাড়ি থেকে শুরু করে অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স পর্যন্ত বিভিন্ন আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে স্থানীয় দোকান, বাজার এবং রেস্তোরাঁ রয়েছে যা বাসিন্দাদের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করে। রাজপাড়া বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হোস্ট নাও হতে পারে, তবে এটি সেগুলোর সাথে ভালোভাবে সংযুক্ত। রাজপাড়া থানায় ২৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে, যা রাজশাহীর মধ্যে বিখ্যাত। রাজপাড়া ১০টি ইউনিয়ন/ওয়ার্ড এবং ৪৬টি মৌজা/মহল্লা নিয়ে গঠিত। রাজশাহীর পরিবহন নেটওয়ার্কের সুবিধা রাজপাড়া পায়, যেখানে সড়ক ও গণপরিবহন ব্যবস্থা এটি শহরের অন্যান্য অংশ এবং তার বাইরেও সংযুক্ত করে।<br><br> সামগ্রিকভাবে, রাজপাড়া একটি অন্বেষণের মতো সুন্দর স্থান। যদিও কিছু উন্নতির প্রয়োজন, তবে এটি একটি শান্তিপ্রিয় সম্প্রদায়ের স্থান।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
IconMap

ফিচারড প্রজেক্ট

সবগুলো দেখুন

Bangladesh-এর প্রপার্টি প্রাইস ট্রেন্ড

কেনা
ভাড়া
বেডরুম:
গড় মূল্য (বিগত ১২ মাসের)
BDT 6,428.06 per sqft
বিগত ১২ মাসের বৃদ্ধি
11.11%
Positive Trend
বিগত ৩ মাসের বৃদ্ধি
13.4%
Positive Trend
Icon
দ্রষ্টব্য: মূল্য তথ্য Bikroy-এর পোস্ট করা বিজ্ঞাপন থেকে ঐতিহাসিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া। সম্পূর্ণ মার্কেটের ডায়নামিক প্রতিফলিত নাও হতে পারে।
hero

Bikroy এ বিক্রি বা ভাড়া দিন: মাত্র ২ মিনিটেই প্রপার্টির বিজ্ঞাপন দিন!